
Home যশোর জেলা / Jessore District > যশোর শহর / Jessore Town
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99955 বার পড়া হয়েছে
যশোর শহর / Jessore Town
যশোর শহরের দর্শনীয় স্থান Sightseeing of Jessore Town |
||
![]() |
ভৈরব নদ যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানার উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই নদী। এক সময় নদীর উপর কোন সেতু ছিল না। তখন মানুষ নৌকা চড়ে নদী পার হতো। কিন্তু নৌকায় ছিল না কোন মাঝি। নৌকার দুই পাশে বাঁধা মোটা দড়ি টেনে টেনে মানুষ ও পণ্যদ্রব্য পারাপার করতো। সেই থেকে এই স্থানের নামকরণ হয়েছে দড়াটানা। এক সময়ের খরস্রোতা নদী বর্তমানে মৃতপ্রায়। বিকাল বেলা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বিস্তারিত তথ্য ... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
কালেক্টরেট ভবন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ভবন শুধু যশোর নয় সমগ্র খুলনা বিভাগের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। ভবনটি কবে নির্মিত হয়েছিল তা এলাকার কোন প্রবীন ব্যক্তি বলতে পারে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে যশোরের বেড়াতে আসা মানুষ এই ভবন দেখতে আসে। দড়াটানার মোড় হতে পশ্চিম দিকে তাকালেই বিশাল এই ভবনটি চোখে পড়ে। বিস্তারিত তথ্য.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরি’ উপমহাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত স্বল্প সংখ্যক গণপাঠাগারের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রাচীন পাবলিক লাইব্রেরী। সংবাদ মাধ্যমেও এসেছে বহুবার। গত দেড় বছরের বেশী সময় যাবৎ লাইব্রেীটি এ অঞ্চলের শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। যশোর শহরের দড়াটানা হতে দক্ষিণ দিকের রাস্তায় মাত্র ৫ মিনিট হাটলেই বাম পার্শে টাউনহল ময়দানের অপর প্রান্তে অবস্থিত লাইব্রেরীটি সহজেই চোখে পড়বে। দেখে আসুন ঐতিহ্যবাহি এই লাইব্রেরীটি। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
হযরত গরীব শাহ (রহঃ)-এর মাজার হযরত খান জাহান আলী (রহঃ) এর অনুসারী হযরত গরীব শাহ (রহঃ) যশোর অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শহরের জিরো পয়েন্ট দড়াটানা থেকে পশ্চিমে মাত্র কয়েকশ গজ দূরে বকুল তলা নামক স্থানে রাস্তার ঠিক পাশেই তাঁর এই মাজারটি অবস্থিত। বিস্তারিত তথ্য.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
হযরত বারহাম শাহ্-এর মাজার হযরত খান জাহান আলী (রহঃ) এর অনুসারী হযরত বারহাম শাহ (রহঃ) যশোর অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যশোর শহরের দড়াটানা হতে পশ্চিম দিকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে কারবালা নামক স্থানে তাঁর মাযারটি অবস্থিত। মাযারের চারপাশ ঘিরে রয়েছে গোরস্থান। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান-এর মাজার বাংলা সাহিত্যের উচ্চতর গবেষণার ক্ষেত্রে ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাঁর কবিতা ইংরাজী, ফরাসী, জার্মান, রুশ, কাতার, জাপান, কোরিয়া, হিন্দী, উর্দু প্রভৃতি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। দেশের শিক্ষা বোর্ডেও তাঁর কবিতা পাঠ্যক্রমভুক্ত করা হয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭০টির বেশী। তার সকল সাহিত্য কর্মে দেশপ্রেম পরিষ্ফুটিত হয়েছে। সংগীত রচনার ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান শীর্ষে। রেডিও ও টেলিভিশনে তাঁর রচিত গান নিয়মিত প্রচারিত হয়। অসংখ্য কালজয়ী গানের এই শ্রষ্টা চির নিদ্রায় আছেন তাঁর জন্মস্থান যশোর শহরের পশ্চিম প্রান্তে খড়কী পাড়ায়। তাঁর লেখা কয়েকটি গানের অংশবিশেষ : # আমার দেশের মাটির গন্ধে, # প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যরাগে, # তুমি কি দেখেছ কভূ জীবনের পরাজয়, # অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান, # হলুদ বাটো মেন্দি বাটো, # দাও গয়ে হলুদ পায়ে আলতা, # প্রেমের নাম বেদনা, সেকথা বুঝিনি আগে, # কত যে ধীরে বহে মেঘনা, # এই বাংলায় সবুজে শ্যামলে। বিস্তারিত জীবনী.... |
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
যশোর জিলা স্কুল ১৮৩৮ সালে বৃটিশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলটি শুধু যশোর নয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম স্কুলের মধ্যে একটি। পৌনে দুই'শ বছর যাবৎ যশোর অঞ্চলে শিক্ষার উন্নয়নে বিদ্যালয়টি ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের অংসখ্য স্বনামধন্য ব্যক্তি এই স্কুলের ছাত্র ছিল। যশোরের জিরো পয়েন্ট দড়াটানা হতে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে রেল রোডের ডান পার্শে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
যশোহর কেন্দ্রিয় কারাগার ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত যশোর কেন্দ্রিয় কারাগার বাংলাদেশের প্রাচীনতম কারাগারের মধ্যে একটি। যশোরের জিরো পয়েন্ট দড়াটানা হতে মাত্র পৌনে এক কিলোমিটার দূরে উত্তর পূর্ব দিকে কারাগারটি অবস্থিত। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
মনিহার প্রেক্ষাগৃহ যশোরের অন্যতম আকর্ষন মনিহার প্রেক্ষাগৃহ । প্রায় এক একর জমির ওপর ১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর চার তলা বিশিষ্ট দেশের বৃহত্তম এ সিনেমা হল মণিহারের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম ছবি হিসেবে এখানে প্রদর্শিত হয় 'জনি'। সিনেমা হলটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম সিরাজুল ইসলাম। আধুনিক নির্মাণশৈলির কারণে সিনেমা হলটি সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। সর্বমোট ১৪৩০টি আসন রয়েছে এ হলে। তার মধ্যে ৫৩৫টি আসন ডিসি। এছাড়া বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য ১৮টি আসন সংরক্ষিত। পর্দার আয়তন ৪০/৩০। প্রেক্ষাগৃহটি প্রতিষ্ঠার পর কী নাম রাখা যায় তা জানতে চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। ফলাফল হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় এক লাখ নাম এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয় 'মনিহার'। এখানে সব সময় পরিচ্ছন্ন ছবি চালানোয় দর্শকদের কাছে প্রেক্ষাগৃহটির যথেষ্ট কদর ছিল। শুধু বাংলাদেশ নয় সমগ্র এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও ব্যয়বহুল সিনেমা হল এটি। শুরুর সময় দুই বাংলার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এই চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহটি। বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক চলচ্চিত্র শিল্পী আছেন যারা মনিহারে ছবি দেখেননি। বিভিন্ন জেলা হতে দলে দলে মানুষ গাড়ী ভাড়া করে সিনেমা দেখতে আসতো এখানে। ছবি শুরু হওয়ার আগে আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিনত হতো। এখন সে সব দৃশ্য আর দেখা না গেলেও দেশের অন্যান্য জেলা হতে নতুন কোন মানুষ যশোরে বেড়াতে আসলে ইচ্ছা করেন মনিহারে একবার সিনেমা দেখতে। যশোর শহরের জিরো পয়েন্ট দড়াটানা হতে মাত্র দেড় কিলোমিটার পূর্বে এই প্রেক্ষাগৃহটি অবস্থিত। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
শঙ্করপুর বধ্যভূমি দেশের অন্যতম বধ্যভূমি যশোরের শঙ্করপুর সরকারি হাঁস-মুরগির খামার। এই বধ্যভূমিতে একাত্তরে বিহারীরা শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী এখান থেকে কয়েক ট্রাক হাড়-কঙ্কাল সরিয়ে নিয়ে গেছে। ১৯৯২ সালে স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা এই বধ্যভূমির পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি নির্মাণ করে। প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বরে বিভিন্ন সংগঠন এই স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের উদ্দেশ্যে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করে। যশোরের জিরো পয়েন্ট দড়াটানা হতে মাত্র তিন কিলোমিটার দক্ষিণে শংকরপুরের মুরগির ফার্মের নিকটে এই বধ্যভূমিটি অবস্থিত। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম যশোর রেল স্টেশনের নিকটবর্তী প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর এক নির্জন ও শান্ত পরিবেশে যশোর শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমটি অবস্থিত। যশোরের কৃতি সন্তান স্বামী সুধানন্দজী ইংরাজী ১৯৩৬ খৃষ্টাব্দে এটি স্থাপন করেন। প্রত্যহ মন্দিরে বিগ্রহের পূজা হয়। সন্ধ্যারতি, ভজন, গান, ধর্মীয় পুস্তক পাঠ ও আলোচনা হয়। প্রতি শুক্রবার কথামৃত পাঠ হয়। আশ্রমটির ফুল বাগান ও সুসজ্জিত ভবন সমৃদ্ধ মনোরম পরিবেশ ভক্ত সহ যে কোন দর্শকের হৃদয় আকর্ষণ করে। আশ্রমটি যশোর জেলার অন্যতম রুচিশীল ও ভাবগম্ভীর উপাসনালয় হিসাবে আজ সর্বজন স্বীকৃত। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
চাঁচড়া রাজবাড়ী ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দে চাঁচড়া রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়। মহতাবরাম এ রাজবংশের প্রথম রাজা। ১৬১৯ খ্রীষ্টাব্দে রাজা মহতাব রায়ের মৃত্যু হলে তার জ্যেষ্ঠ পুত্র কন্দর্প রায় রাজ্যধিকারী হন। রাজা কন্দর্প রায় খেদাপাড়া হতে উঠে এসে ইমাদপুর পরগণার অন্তর্গত চাঁচড়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। সুতরাং চাঁচড়ার রাজধানীর স্থাপতি তিনিই। ১৬১৯ হতে ১৬৫৮ সাল পর্যন্ত ৩৯ বছর রাজত্ব করেন রাজা কন্দর্প রায়। এরপর বংশানুক্রমে অনেকেই রাজা হয়েছেন। ১৮৮০ সালে রাজবাহাদুর বরদাকন্ঠ ৪৬ বছর রাজত্ব করে মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র জ্ঞানদাকন্ঠ এ বংশের সর্বশেষ রাজা হন। চাঁচড়া রাজ বংশের কীর্তিচিহ্ন আজও বিদ্যমান। মোঘল আমল হতে ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত তারা যে কীর্তি রেখে গেছেন, তা মহাকালের দূর্বার স্রোতে বিলীন হতে চলেছে। যশোর শহর হতে ৩/৪ কিলোমিটার দক্ষিণে চাঁচড়া নামক স্থানে এই রাজবাড়ীটি অবস্থিত। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
চাঁচড়ার মৎস উৎপাদন কেন্দ্র সরকারী কোন সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই যশোরের চাঁচড়া গ্রামের মানুষ মাছের পোনা উৎপাদনে এক নীরব বিল্পব সংঘটিত করেছেন। চাঁচড়া ছাড়াও আশেপাশের এলাকায় ৫০টি হ্যাচারী আর প্রায় ১ হাজার নার্সারি প্রতিষ্ঠা করে প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা মূল্যের রেণু পোনা উৎপাদন করছেন এ এলাকার মৎস ব্যবসায়ীরা। দেশের বাজার ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশে চালান হয়ে যায় এই মাছের পোনা। বর্তমানে এই ব্যবসার সাথে কমপক্ষে ১ লাখ মানুষ জড়িয়ে পড়েছে। যশোর শহরের জিরো পয়েন্ট দড়াটানা হতে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে এই মৎস খামারটি অবস্থিত। বিস্তারিত.... |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:
০১৭১৮৯২৭১০৩ / ০১৯৬৪৬৬৪৮৪৪ |
||
সংগ্রহের চেষ্টা চলছে খড়কী পীরের মাজার, যশোর। |
||