
Home নড়াইল জেলা / Narail District > নড়াইল জেলার ওলী দরবেশ / Saint of Narail District
এই পৃষ্ঠাটি মোট 89646 বার পড়া হয়েছে
নড়াইল জেলার ওলী দরবেশ / Saint of Narail District
নড়াইল জেলার ওলী দরবেশ
Saint of Narail District
কুরেলা শাহ দেওয়ান :
কুরেলা শাহ দেওয়ান বহু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। যতদুর জানা যায় তিনি ইরান অথবা তুর্কীস্তান থেকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি বাজারের অন্য পারে কদম তলা গ্রামে আসেন। আখড়াবাড়ী গ্রামের এক হিন্দু সাধকের সাথে তার খুব সখ্যতা ছিল। একবার ঐ সাধককে তাৎক্ষনিকভাবে শশার বীজ পুতে তাতে ফল ধরীয়ে তিনি খেতে দিয়েছিলেন। শোনা যায় তিনি খড়ম পায়ে চিত্রা নদী পার হতেন। তাঁর বহু অলৌকিক ঘটনার কথা শোনা যায়। কদমতলা গ্রামে তার মাজারের পাশে একটা বহু পুরাতন মসজীদ তাঁর স্মৃতিকে অমর করে রেখেছে।
দেওয়ান ঘোরন শাহ ফকির :
সাধক ঘোরনশাহ উত্তর দেশ থেকে খড়ম পায়ে জেলার বাঐসোনা গ্রামে আসেন। তিনি এই গ্রামে আগমনকারী প্রথম মুসলমান বলে অনুমান করা হয়। তিনি বহু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তার বংশধররা ঐ গ্রামে মোল্যা বংশ হিসাবে আছেন বলে জানা যায়।
ওয়ালী মাহমুদ খাঁ :
ওয়ালী মাহমুদ খাঁন পীর খান জাহান আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র এবং জাহান্দার খানের পুত্র বলে কিংবদন্তী আছে। তিনি তার পিতা ও পিতৃব্যের মত আধ্যাত্বিক শক্তিধর পীর ছিলেন। তিনি ধর্ম প্রচার ও জনপদ বিজয়ে বের হন। লোহাগড়া উপজেলার মহিশাহপাড়া থেকে বর্তমান কলাবাড়ীয়া গ্রামে আসেন। সেখানে তিনি কেল্লাবাড়ী স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে তা কলাবাড়ীয়া গ্রাম নামে পরিচিতি লাভ করে। তিনি এখানে একটি মসজিদ এবং মক্তব চালু করেন। তাঁর অনেক পূর্ব-পুরুষ যশোর খুলনা বাগেরহাট প্রভৃতি এলাকায় বিভিন্ন বংশ পরিচয়ে বাস করতেন বলে শোনা যায়।
সাধক মহিউদ্দীন মুন্সী :
মহিউদ্দীন মুন্সী পীর সাহেবের একান্ত খাদেম ও মুরিদ ছিলেন। তিনি জামরিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নড়াইল জেলার বড়গাতির নীল কলির গভীর জঙ্গলে তিনি ১২ বছর তপস্যা করে ঐশি ক্ষমতার অধিকারী হন। জীবনের শেষ দিকে তিনি নড়াইলের আফ্রায় পীর দরবার স্থাপন করেন।
মুন্সী মোবারক হোসেন :
মুন্সী মোবারক হোসেন এর জন্ম লোহাগড়ার জয়পুর গ্রামে। তিনি দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরে বর্তমান ইসলামপুরে বসতি স্থাপন করেন। তখনকার দিনে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বা আধুনিক কোন শিক্ষার আলো ছিলো না। মুন্সী মোবারক হোসেন আপ্রাণ চেষ্টা করে এলাকার মানুষের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তার ঘটে। তিনি ছিলেন এই এলাকার একজন ধর্মীয় নেতা এবং একজন চিকিৎসক। তখনকার দিনে এখনকার মত আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল না। বিভিন্ন রোগ শোকে মানুষ তার কাছেই ছুটে যেতেন। তিনিই এই গ্রামের নামকরণ করেন ইসলামপুর।
পাচুশাহ ফকির :
মারেফতীর ফকির বলে পরিচিত পাচুশাহ বল্লাহাট গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বহু মুরীদ রয়েছেন। তিনি বহু আধ্যাত্মিক গান রচনা করেন।
মোক্তাদের ফকির :
কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পদ্মা পারের শাহনালচাঁদ ফকিরের মুরিদ ছিলেন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জন করেন। তাঁর রচিত অনেক ভাবগান রয়েছে।
মৌলভী ইয়াকুব মোল্লা :
তিনি বাঐসোনা গ্রামের দেওয়ান ঘোরন শাহ ফকিরের বংশধর। আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি। নদীতে গজগীর ভাসিয়ে কথা বলতেন এবং মানুষকে দেখাতেন। তার পুত্র তৈয়বুর রহমান মোল্যাহ খুলনা বারের আইনজীবি ও রাজনীতিবিদ।
গরীবুল্লাহ শাহ সরদার :
তিনি বাঐসোনা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। গাতিদার এবং আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের গরীবপুর গ্রামটি তার নামানুসারে হয়। জানা যায় স্বাধীনতার পর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় গরীবপুর গ্রামকে গৌরীপুর করেন।
শাহ ফজু দেওয়ান :
নড়াইল জেলার এক অসাধারণ সাধক পুরুষ শাহ ফজু দেওয়ান। স্বনামধন্য এই সাধকের মাজারে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অগনিত লোক এসে তাদের প্রার্থনা জানিয়ে থাকেন। মনের বাসনা পুরনের লক্ষ্যে মাজারের ইট, ধুলি নিয়ে থাকেন। রোগ মুক্তির আশায় দিঘির পানিতে গোসল করে। মহান এই সাধক সন্বন্ধে অনেক অলৌকিক কাহিনী শোনা যায়। ঠিক কত বছর আগে এই মহান সাধকের এখানে আবির্ভাব সে ইতিহাস জানা যায় না। জনশ্রুতি আছে তিনি ধর্ম প্রচারের জন্য বাঘের পিঠে চড়ে এই এলাকায় আসেন। কারো কারো মতে আবার এক বিধবা মহিলার শিশুপুত্রকে একই গ্রামের (রামপুর) ধনবান সীতরাম দত্তের বাড়িতে কাজে পাঠান। পিতৃহীন এই বালকের নাম ছিল পাচু। মাঠে গরু চরানো ছিল পাচুর কাজ। একদিন সীতারাম মাঠে গিয়ে দেখতে পান, মাঠে গরু চরছে আর পাচু ঘুমিয়ে আছে। একটি বিষধর সাপ ফনা তুলে পাচুকে ছায়া দিচ্ছে। এর পর থেকে তিনি পাচু এবং তার মায়ের ভরন পোষনের দায়িত্ব নেন। পাচুকে আর কাজ করতে হয় না। শুরু হয় তার আধ্যাত্মা সাধনা। দিন দিন তার খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বহু অলৌকিক ঘটনা শোনা যায় তাকে ঘিরে। তার আধ্যাত্মিকতায় মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন নবাব সরকার তাকে ৩৫০ একর নিষ্কর জমি দান করেন। লক্ষীপাশা থেকে কাশীপুর পর্যন্ত প্রায় ২ মাইল দীর্ঘ ২২ হাত প্রস্থ এলাকা জুড়ে এই সাধকের নামে সে জমি আজো রয়েছে। শোনা যায় বাঘের পিঠে চড়ে তিনি এইসব পথে চলাচল করতেন। হিংস্র বন্য প্রানী তার অনুগত ছিল। নড়াইল শহর থেকে প্রায় ৮/১০ মাইল পূর্বে নড়াইল লোহাগড়া সড়কের পাশে রামপুর গ্রামে সাধকের মাজার ও দীঘি রয়েছে।
এক সময় এখানে প্রচুর জংগল ছিল। জঙ্গলের সকল বন্য প্রানী তাঁর অনুগত ছিলো বলে জানা যায়। এখানে একটি প্রাচীন মসজিদ ও একটি সান বাঁধানো পুকুর। মসজিদে এখনও মুসল্লিরা নামাজ পড়ে। পাশে রয়েছে একটা এতিমখানা। এর উত্তরে রয়েছে মূল মাজার। এখানে সুন্দর ও শান্ত পরিবেশে একটি ফলের বাগানের মাঝে সাধক চির নিদ্রায় শয়িত আছেন। এখানে তার মায়ের মাজার বলেও জানা যায়। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে এখানে একবার উরস হয়। প্রচুর ভক্ত আসে। মুসলমান ছাড়াও অন্য সমপ্রদায়ের লোকদেরকেও দেখা যায় এখানে। লোহাগড়ার এক ধনাড্য ব্যক্তি সৈয়দ মফিজুল ইসলাম এই গ্রাম ঘেষে নিরিবিলী নামে একটি পিকনিক স্পট গড়ে তুলেছেন। সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে বহু মানুষ এসে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার কারণে ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়।
সাধক লেংটা শাহ :
সদর থানার কামাল প্রতাব গ্রামে সাধক লেংটা শাহের পবিত্র মাজার রয়েছে। তিনি শাহ সাহেব কেবলা বলেও পরিচিত। তার সন্বন্ধে এলাকায় বহু অলৌকিক কাহিনী শোনা যায়। যতদুর জানা যায় উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি এখানে আসেন। জঙ্গলের মাঝে ক্রন্দররত অবস্থায় গ্রামের মুন্সি পরিবারের এক মহিলা তাকে নিয়ে লালন পালন করেন। দিনে দিনে তিনি বড় হন এবং তার অলৌকিককর্ম প্রকাশ পেতে থাকে। শোনা যায় একবার ঐ মহিলা রান্না করার সময় তাকে বসিয়ে রেখে অন্য কাজে যান। ফিরে এসে দেখেন খুব জোরে আগুন জ্বলছে এবং সাধক উননের মধ্যে পা দিয়ে বসে আছেন। মহিলা ফিরে এলে তিনি পা সরিয়ে নেন এবং সম্পূর্ণ অক্ষত থাকেন। মহিলা এতে হতবাক হয়ে যান। তিনি কাপড় পরতেন না বলে তাকে লেংটা শাহ বলা হত।
লেংটা শাহের বহু অলৌকিক ঘটনা শোনা যায়। এক ব্যক্তির গাছে কাঁঠাল হতো না। পীরের মাজারে মান্নত করে যথারীতি গাছে ফল ধরে। ঐ ব্যক্তি একদিন একটা কাঁঠাল পীরের মাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে রওনা হন। পথে এক ব্যক্তি কাঁঠালটি চান। তিনি পথে তা না দিয়ে সোজা শাহ সাহেবের কাছে নিয়ে যান, কিন্তু শাহ সাহেব সে কাঁঠাল আর গ্রহণ করলেন না। বললেন যে, পথে চাইলাম তখন দিলিনা কেন? এর পর থেকে শাহ সাহেবের দরগায় মানত নিলে পথে চাইলে তা দিয়ে দিতে হয়।
শোনা যায় শাহ সাহেবকে যে মহিলা মাতৃস্নেহে লালন করেন তার অন্য এক পুত্র ছিল। তিনি রংপুরের জজ ছিলেন। একদিন তিনি নৌকাডুবির কবলে পড়েন। শোনা যায় ঐ সময়ে লেংটা শাহ তাড়াতাড়ী বাড়ী এসে মায়ের কাছে একটি ধামা চান এবং তা দিয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে পানি সেচার কসরত করেন। পরে বলেন যা বেঁচে গেলি। এর পর জজ বাড়ী ফিরে এলে ঘটনা মিলিয়ে দেখা গেল তিনি যখন নৌকাডুবি থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান তখনই শাহ সাহেব এমনটি করে ছিলেন। এমন বহু কাহিনী শোনা যায়।
হযরত শাহ আমির উদ্দিন :
অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী শাহ মঈন উদ্দিন (বুড়ো দেওয়ান) নামে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচই ধানাইড় গ্রামে তিনি বসবাস করতেন। তার দাদার নাম ছিল শাহ মঈন। তিনি সুদুর আরব থেকে এ দেশে আসেন। আল্লাহর পথে যুগে যুগে যারা সাধনা করে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন শাহ আমির উদ্দিন তাদের একজন। বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে জানা গেছে এই মহান সাধক সুদুর আরব দেশ থেকে এ অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করার জন্য আসেন। ইসলাম ধর্মের পথে ধ্যান ও সাধনা করা ছিল তার প্রধান কাজ। তার বংশধররা এখনও চাচই, ধানাইড় ও লোহাগড়ায় বসবাস করছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন দেওয়ান হাফিজুর রহমান এ্যাডভোকেট, এনামুল হক (ঢাকু), আকরাম হোসেন (দিলু), মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম (চাচা), ডাঃ স্বপন, মা’রুফ, আবু সিনহা, বাদশাহ ফকির, আশরাফুজ্জামান (রাজা), এফ ফরিদ উদ্দিন (ফরু), সাংবাদিক আকতারুল আলম বাবলু, আফজাল, নোমান, খসরু প্রমুখ।
পীর জাহান্দার ও পীর ওয়ালী খান :
বাগেরহাটের পীর খানজাহান আলী খুলনার দক্ষিণ অঞ্চল জয় করেন। তার ছোট ভাই জাহান্দার খাঁন জাহান ও ভাইয়ের ছেলে (জানন্দারের ছেলে) ওয়ালি খান জাহান মোল্যাহ নামে পরিচিতি লাভ করেন। সেনহাটি ও মজুদখলী অঞ্চল থেকে পীর খানজাহান আলীর মূল বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তর দিকে যাত্রা করেন। তারা গাজীর হাট অঞ্চলে এসে সম্মিলিত হিন্দু বাহিনীর বিরুদ্ধে এক যুদ্ধে লিপ্ত হন। যুদ্ধে তারা জয়লাভ করেন। এই যুদ্ধে জাহান্দার ও ওয়ালি খান মোল্যার বাহিনীর সদস্যরা গাজী খেতাবে ভূষিত হন। সেই সময় হতে ঐ স্থানের নাম হয় গাজীর হাট। গাজীর হাট বর্তমানে নড়াইল জেলার দক্ষিণ সীমান্তে খুলনা জেলায় অবস্থিত। জাহান্দার খানজাহান ও ওয়ালী খানজাহান নবগংগা ও কালীগঙ্গা নদীর উপকুল বেয়ে মধুমতি নদীর তীরে আগমন করেন এবং বর্তমান নড়াইল জেলার মহিশাহ পাড়ায় ঘাঁটি নির্মাণ করেন।
জাহান্দার খান জাহান গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর তীরে ইতনা ইউনিয়নের ডিগ্রিচরের পুর্ব পাড়ে গোবিনাথপুরে সেনা ছাইনী ফেলেন। আর ওয়ালী খান জাহান ঐ সময় হঠাৎ আবার বিদ্রোহের খবর পান। বিদ্রোহ দমন করতে মহিশাহপাড়া থেকে কালীগঙ্গা নদী হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে অগ্রসর হন। সেই সময়ের কালিগঙ্গা নদী কালিয়া হাইস্কুলের সামনে দিয়ে বড়নাল গ্রাম ও মাথাভাঙ্গা হয়ে আঠার বাকী নদীর সাথে মিলিত ছিল। বর্তমানে কালিগঙ্গা নদীর কোন অস্তিত্ব নেই।
উদয় ফকির :
জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুমারডাঙ্গা গ্রামে বসবাস করতেন। একজন মুসলিম আধ্যাতিক ফকির ছিলেন। আমাদের দেশে যখন আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আসে নাই তখন বহু লোক ম্যালেরিয়া ও কলেরায় মারা যেত। লোকমুখে আজও শুনা যায় যে এই ফকিরের আধ্যাতিক সাধনায় বহু লোক মাহামারী থেকে আরোগ্য পেত। তাঁর বংশধররা আজও এই গ্রামে বাস করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা মেহেদী হাছান জাকির।
সৈয়দ কায়েম আলী :
লোহাগড়া উপজেলার ধলাইতলা গ্রামে বসবাস করতেন। ফরিদপুরের ছাতৈর মসজিদের পাশে তাঁর জন্ম। অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। ধর্ম প্রাচারের জন্য তিনি বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়াতেন। তারই বংশের সৈয়দ বেলাল নামে ১২ বছরের এক বালক ১৯৭০ সালের ঈদের দিন হঠাৎ নিখোঁজ হয়। ১৯৮২ সালে তাকে পাওয়া যায় কালিয়া উপজেলার চান্দেরচর গ্রামে নবগঙ্গা নদীর তীরে। উক্ত যুবক অনেক অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।
নড়াইলের মির্জাপুর অঞ্চলে এই যুবক অনেক মানুষকে দোয়া ও পানিপড়া দিয়ে নানা ধরনের রোগ মুক্তির কাজ করছেন বলে লোক মুখে জানা যায়।
মৌলভী দেলোয়ার হোসেন :
জেলার লোহাগড়া উপজেলার মংগল হাটা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। একজন আধ্যাত্মিক ও কামেল ব্যক্তি ছিলেন। ১৯১৫ সালে কলকাতার “গার্ডেন বীচ” জামেউল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামী কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর অনেক আধ্যাত্মিক ঘটনার কথা আজও প্রাচীন মুরব্বীদের নিকট শুনা যায়।
তথ্য সূত্র :
নড়াইল জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
লেখক: মহসিন হোসাইন
প্রকাশকাল: ২০০৭
/
নড়াইল জেলা সমীক্ষা ও স্থাননাম
লেখক: মহসিন হোসাইন
প্রকাশকাল: ২০০১
/
নড়াইল জেলার অতীত ও বর্তমান
লেখক : আকরামুজ্জামান মিলু
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল