
Home সাহিত্যিক / Litterateur > আনোয়ারা সৈয়দা হক / Anwara Syeda Haque (1943)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 89443 বার পড়া হয়েছে
আনোয়ারা সৈয়দা হক / Anwara Syeda Haque (1943)
আনোয়ারা সৈয়দা হক
Anwara Syeda Haque
Home District: Jessore
Anwara Syeda Haque
Home District: Jessore
পারিবারি

বিশিষ্ট সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, যশস্বী চিকিৎসক আনোয়ারা সৈয়দা হক ১৯৪৩ সালে ৫ নভেম্বর

১৯৬৫ সালের নভেম্বর মাসে রংপুর নিবাসী প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও কবি সৈয়দ শামসুল হকের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আনোয়ারা সৈয়দা হক। এই দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্র। কন্যা বিদিতা সৈয়দা হক ও পুত্র সৈয়দ হক। তাঁরা যুক্তরাজ্যে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে সেখানেই সুপ্রতিষ্ঠিত।
শিক্ষাজীবন:

আনোয়ারা চৌধুরীর শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি বিদুষী শিক্ষিতা মায়ের হাতে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সূচনা হয় চুড়িপট্টির মোহনগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে তিনি মধুসূদন তারাপ্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে সেখান থেকেই ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকেই কৃতিত্বের সাথে আই. এস. সি পাশ করে ডাক্তারী পড়ার জন্যে ১৯৬১ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
কিশোরী সাহিত্যিক:
নির্মল সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠেছেন আনোয়ারা চৌধুরী। পরিবারে মাতা-পিতার মধ্যে ছিল প্রবল সাহিত্য-সংস্কৃতির অনুরাগ। ছাত্র জীবন থেকেই তাঁর সাহিত্য প্রতিভার প্রতিফলন ঘটে। সেই অল্প বয়সেই ‘দৈনিক আজাদ’ এর মুকুলের মাহফিলে তাঁর লেখা ছোট গল্প প্রকাশিত হত। পরবর্তীতে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এর কচি কাঁচার আসরে এবং আয়েশা সরদার সম্পাদিত ‘শতদল’ পত্রিকায়ও তাঁর বেশ কিছু লেখা

সাহিত্য-সাংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজে পড়াকালীন ‘দৈনিক আজাদ’, ‘মোহাম্মদী’ ও ‘গুঁলিস্তা পত্রিকায় তাঁর লেখা গল্প, কবিতা প্রকাশিত হয়। এ সময় ‘গুঁলিস্তা’ পত্রিকায় লিখে তিনি পুরষ্কৃত হন।মেডিকেল কলেজে পাঠ্যাবস্থায় লেখালেখিসহ কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ সময় ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম শ্রেণীর পত্র-পত্রিকাসহ মেডিকেল জার্নাল-এ তাঁর লেখা মুদ্রিত হত।
পেশাগত জীবন:
১৯৬৭ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে লেফটেন্যান্ট পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে চাকরিজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হন এবং

প্রকাশিত উপন্যাস :
তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘তৃষিতা’ প্রকাশিত হবার পর ১৯৭৬ সালে কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘ছানার নানা বাড়ী’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘সোনার হরিণ’। ১৯৮৮ সালে ‘বাবার সাথে ছানা’, ১৯৯০ সালে ‘তৃপ্তি’, ‘আবেদ হোসেনের জোৎস্না দেখা’, ১

কর্মের স্বীকৃতি :
এই খ্যাতিমান সাহিত্যিক তাঁর সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ ‘অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরষ্কার’ ও ‘লেখিকা সংঘ’ পদক লাভ করেন।
তথ্য সূত্র :
যশোরের যশস্বী, শিল্পী ও সাহিত্যিক
লেখক : কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট:
ফেব্রুয়ারী ২০১২
ইউনুচ