
Home রাজনীতিবিদ / Politicians > আনোয়ার জাহিদ / Anwar Zahid (1935-2009)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 18198 বার পড়া হয়েছে
আনোয়ার জাহিদ / Anwar Zahid (1935-2009)
আনোয়ার জাহিদ
Anwar Zahid
Jhenidah
Anwar Zahid
Jhenidah

একজন বামপন্থী হিসেবে তাঁর রাজনৈতিকজীবন শুরু। ছাত্রজীবনে নিখিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ মহকুমা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে ঝিনাইদহ হতে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। ’৫৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ’৫৫ সালে সাহিত্য মজলিসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৫৬ সালে রাজশাহী সরকারী কলেজের নির্বাচিত হন ভিপি। ’৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। ’৬১ সালে গ্রেফতার হন। ’৬২ সালে থেকে বের হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেন। তিনি ছাত্র রাজনীতির সময়ই সাংবাদিকতা শুরু করেন। ’৬৫ সালে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। একই সালে ন্যাপের অল পাকিস্তান সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ’৬৮ সালে ন্যাপ দু’ভাগ হয়। ভাসানী যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ’৬৯ সালে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।’ ৭৭ সালে পুনরায় ন্যাপ নতুনভাবে পুনর্গঠন করা হলে তিনি ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ’৭৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৫ দলের সমন্বয়ে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট গঠিত হয়। তিনি ঐ ফ্রন্টে যোগ দেন। একই সালে আনোয়ার জাহিদ ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনমলে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। ’৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে কিছুদিন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ’৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ’৮৯ সালে এনডিপি গঠন করেন। ’৯১ সালে বিএনডিপি গঠন করেন এবং দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একই সালে ১০টি দলের সমন্বয়ে এনডিএ গঠিত হয়। তিনি এ-ফ্রন্টের সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। শুধু রাজনীতি নয়, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের এই সাবেক নেতা সাংবাদিকতা পেশায় দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি যখন ছাত্রনেতা, তখন দৈনিক ইত্তেহাদের সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ’৫৮ সালে অর্ধ সাপ্তাহিক ধূমকেতুর সহকারী সম্পাদক, ’৫৯ সালে দৈনিক সংবাদের সহকারী সম্পাদক, ’৬০ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক, ’৬৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার সম্পাদক, ’৬৬ সালে ইংরেজী সাপ্তাহিক হলিউডে’র উপ-সম্পাদক, ’৭০ সালে সাপ্তাহিক গণবাংলার নির্বাহী সম্পাদক, ’৭২ সালে ইংরেজী পত্রিকা ডেইল দ্যা পিপলস-এর নিউজ এডিটর এবং ’৭৭ সালে বাংলাদেশ টাইমস-এর নিউজ এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ কাজ করেন দৈনিক ইনকিলাব-এ।
সাংবাদিক জীবনে আনোয়ার জাহিদ শুধু সাংবাদিকতা করেননি সাংবাদিকদের নেতৃত্বেও দিয়েছেন। ’৬২, ’৬৩, ৬৪ সালে তিনি ডিইউজের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ’৬৫, ’৬৬ সালে তিনি ডিইউজের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৮, ’৮৩ সালে একই সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং দায়িত্ব পালন করেন।
আনোয়র জাহিদ ২০০৯ সালের ৬ আগস্ট ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। আনোয়ার জাহিদের মৃত্যুর খবরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ. এম. এম. বাহাউদ্দীন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ, জাতীয় পার্টি মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি ১ পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
তথ্য সূত্র :
পত্রিকা সংবাদ
সংগ্রহ :
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট:
মার্চ ২০১২